Sunday, June 10, 2012

এবার ডাচ-বাংলা ব্যাংক পরিহার করার পালা..... DBBL- এর অভিনব প্রতারণা... DBBL কার্ড আছে? ধরা না খাইতে চাইলে জানুন...

বাইরের দেশগুলোতে ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে কাষ্টমারদের আরো বেশী বেশী ভালো সার্ভিস দেয়া যায় যাতে তারা সহজে ট্রানজেকশন করতে পারে এবং ব্যাংকের আরো কাছে আসতে পারে ও সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর সেবার নমুনা দেখলে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তাদের উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে কাষ্টমারদের আরো বেশী বেশী কষ্ট দেয়া যায়।

এইবার আসেন আসল ঘটনায়।

ইদানিং DBBL তাদের কাষ্টমারদের সাথে অভিনব প্রতারনা শুরু করেছে। ২/৩ মাস আগে থেকেই ব্যালান্স জানতে এবং টাকা উঠানোর পর রশিদ নিলে ৩ টাকা করে কেটে রেখে দেয়। বর্তমানে তারা কাষ্টমারদের বিরক্তি উৎপাদনের জন্য আরো কিছু সুন্দর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। DBBL- এর বুথে গেলে গার্ড আগেই বলে দেয় হয় মেশিন নষ্ট, নাহয় মেশিনে টাকা নাই, নতুবা টেকনিক্যাল প্রমলেম, মোট কথা বেশীরভাগ সময়ই বুথ সচল থাকে না। আর সর্বোপরি বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঝামেলা তো আছেই।

তেমনি গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে ভাবলাম, বিদ্যুৎ যেহেতু আছে যাই কিছু টাকা তুলে নিয়ে আসি। আমাদের এলাকায় দুটি বুথ আছে। প্রথমে একটিতে গেলাম। বুথে ঢোকার আগেই গার্ড তার স্বভাব-সুলভ ভঙ্গিতে বলে উঠলো মেশিন নষ্ট। এমনিতেই ৩৫/৪০ মিনিটের পথ জ্যামে পড়ে আসতে দুই ঘন্টা লাগলো, তারপর গার্ডের মুখের মধুর বাণী শুনে মেজাজ উঠে গেল সপ্তমে। গার্ডকেই বললাম, মেশিন নষ্ট হইলে আপনি এখানে বসে বসে কি করতেছেন, মাছি মারতেছেন? বুথ বন্ধ করে বাড়ি যেয়ে ঘুমান গিয়ে। দ্বিতীয়টাতে যেয়ে শুনি কার্ড ঢুকতাছে মাগার টাকা বাইর হইতাছে না। কি আর করুম, মনের দুঃখ মনে চাইপা বাসায় চলে আসলাম।

এই হলো আমাগো দেশের ব্যাংকগুলোর সেবার নমুনা। আইসেন আমরা সবাই মিলে DBBL- এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি এবং বলি ------------------------------------------------------------
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
DBBL এর ATM অলিতে, গলিতে, মোড়ে সবখানে। সার্ভিস এলাকা ভেদে জঘন্য থেকে সহনীয় সবই আছে। অবশ্য আমার এলাকায় ভালা সার্ভিস দেয় বলে বহুদিন থেকে ব্যবহার করি। বাট, গতবছর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন কিছু চার্জ আপগ্রেড করেছে বলে সব খরচাপাতি বহুগুন বেড়েছে।

সংক্ষেপে DBBL এর সেভিংস একাউন্টের বর্তমান চার্জ জানাইতেছি। ধরা খাবার আগেই জানুন।

সেভিংস একাউন্ট মেইনটেনেন্স চার্জ (ছয় মাস পর পর কাটবে)
১. গড়ে ৪৯৯৯ টাকা বা এর কম ব্যালেন্স থাকলে এই চার্জ পুরাই মউকুফ!! ফ্রি খাইতে পারবেন বছরের পর বছর!
২. গড়ে 5000 থেকে 25,000 টাকা ব্যালেন্স থাকলে ৬ মাস পর পর ১০০ টাকা+১৫% ভ্যাট= ১১৫ টাকা কাটবে।
৩. গড়ে 25,000 এর উপ্রে ব্যালেন্স থাকলে ৬ মাস পর পর ৩০০ টাকা+১৫% ভ্যাট= ৩৪৫ টাকা কাটবে।
৪. ইন্টারনেট ব্যাংকিং ২০০ টাকা+১৫% ভ্যাট=২৩০ টাকা নেবে
৫. এসএমএস ব্যাংকিং এখনো ফ্রি।

এবার আসেন এটিএম কার্ডের ব্যাপারেঃ
১. Nexus Classic যেটিতে আগে বছরে ২০০ টাকা দিতে হত সেটি এখন বছরে ৪০০ টাকা কাটবে
২. Visa Electron কার্ড আগের মত ৫০০ টাকাই আছে (ভাবতেছি পুরান কার্ড ফেলায় Maestro নেব। ১০০ টাকার ডিফারেন্স দিয়া Classic কুন দুখে! VISA নিতে যায়েন না। আমার ভিসা ২ মাসেই নষ্ট হয়া গেছে। খুবই বাজে কোয়ালিটির কার্ড)
৩. Maestro মেস্ট্রো কার্ড আগের মত ৫০০ টাকাই আছে।
[

(সাথে ১৫% ভ্যাট তো আছেই। )

এর সাথেঃ
Excise Duty নামের সরকারী ট্যাক্স তো নিয়মিত কাটা হবেই!

DBBL এর Visa বা Maestro কার্ড ব্যবহারকারীরা জেনে রাখুনঃ

১. DBBL এর বুথ থেকে টাকা তোলা আপনার জন্য ফ্রি বাট..
২. DBBL এর সাথে চুক্তি আছে এমন বুথ থেকে টাকা তুললে প্রতি ট্রানজিশনে ১০টাকা+ভ্যাট এবং
৩. বাংলাদেশের যেকোনো বুথ (Visa চিহ্নিত বা Maestro) থেকে টাকা তুললে 150 টাকা বা 2.50% (+ভ্যাট) যেইটা বেশি হয় কাইট্টা লইবো!
৪. বিদেশে গিয়া এইসব Visa বা Maestro কোনটাই ব্যবহার করতে পারবেন না। এগুলা শুধু লোকালি বাংলাদেশের জন্যই। বিদেশে টাকা তোলার জন্য অন্য কার্ড ইস্যু করতে হবে।

সুতরাং, সাধু সাবধান!!!

'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

ঢাকা শহরের প্রায় সব এলাকাতেই এখন DBBL - এর ATM বুথ রয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে DBBL - এর ATM বুথের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এর গ্রাহক সংখ্যাও বেশি। কারণ একটাই জমাকৃত টাকা সহজে প্রাপ্তির একটা উপায় দৃশ্যমান। যার স্বাক্ষী ঐ ATM বুথ গুলো।

কিন্তু DBBL -এর এই ATM বুথ গুলো এখন যেন বিড়ম্বণা হয়ে দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সময়ই এখন এই বুথ গুলোতে একটা না একটা ঝামেলা লেগেই থাকে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় ১০০ টাকার নোট নাই। ৫০০ টকার নোট পাওয়া গেলেও আবার অনেক সময় রিসিটের কাগজ নাই।

সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে, যদি কখনো একটা বুথ নষ্ট থাকে তাহলে অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় ঐ সময় শহরের সবগুলো বুথই নষ্ট। যারফলে সে সমই আর কোনভাবেই টাকা তোলা সম্ভব হয় না। আর কোন কারণে বুথ গুলো নষ্ট হলে যে সেটা তড়াতাড়ি ঠিক হয় তাও ন্য়। দীর্ঘ সময় পর নয়তো পরেরদিন সেগুলো ঠিক করা হয়। এমন কি ফোনে অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয় না। তারওপর আবার, বুথ গুলোতে বসানো ফোন গুলোর প্রায় সবগুলোই হয় নষ্ট না হয় সেগুলো থেকে ফোন করলে অপর প্রান্তে কেউ ধরে না।

আবার, যারা বারডেম হাসপাতালের ATM বুথটি ব্যাবহার করেন, তাদের তো অবস্থা আরও খারাপ। এই বুথটি যে কেন রাখা হয়েছে আল্লাহই জানেন। এটা বছরের ৩৬০ দিনই নষ্ট থাকে। এমনকি এখানে যদি কারও কার্ড আটকে যায় তো তার আর ভোগান্তির শেষ থাকে না। যদিও শাহবাগে রাস্তার ওপাশে DBBL এর আরেকটা ATM বুথ আছে কিন্তু সেখানেও সমস্যা। এই বুথটির সামনে এমনকি বুথের সিড়িতেও বসে ফলের দোকান আর সন্ধ্যার পরে মানযজনের আড্ডা।

জানিনা DBBL - এগুলো আদৌ মনিটর করে কি না

No comments:

Post a Comment