Monday, April 21, 2014

প্রিমিয়াম ভার্সনের Galaxy S5 আনছে Samsung দেখে নিন কি কি আসে এতে


Image
স্মার্টফোন জায়ান্ট স্যামসাংয়ের প্রধান নির্বাহী জেকে শিন জানিয়েছিলেন যে, তাদের এবছরের ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন Galaxy S5 এর কোন প্রিমিয়াম ভার্সন বের করবেনা স্যামসাং।
কিন্তু বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাইয়ের অ্যাপ্লিকেশন GFXBench এর প্রকাশিত এক তথ্য থেকে জানা গেলো আরেকটি হাই-এন্ডের স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে স্যামসাং আর এটির অবস্থান ঠিক গ্যালাক্সী এস-৫ এর উপরেই! নতুন এই ফাঁস হওয়া ফোনের মডেল নাম্বার হলো SM-G906S, উল্লেখ্য Galaxy S5 এর মডেল নাম্বার SM-G900।
Image
মূলতঃ উচ্চ রেজ্যুলেশনের স্ক্রীন, নতুন প্রসেসর ও অধিক র্যারম এই ৩টি উন্নত বৈশিষ্ট্যের কারণে SM-G906S মডেলের স্মার্টফোনকে Galaxy S5 এর প্রিমিয়াম ভার্সন বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
উচ্চ রেজ্যুলেশনের স্ক্রীনঃ
SM-G906S মডেলের স্মার্টফোন এ থাকছে ২৫৬০x১৪৪০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের কিউএইচডি (QHD) স্ক্রীন, যেখানে Galaxy S5 এর স্ক্রীন রেজ্যুলেশন হলো ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের।
Image resized to 75% of its original size [600 x 364]
Image
নতুন প্রসেসরঃ
Galaxy S5 এর প্রিমিয়াম ভার্সনে থাকছে ২.৫ গিগাহার্টজের কোয়ালকম প্রসেসর আর এতে চিপসেট হিসেবে থাকছে স্ন্যাপড্রাগন ৮০৫। অন্যদিকে SM-G900 মডেলের Galaxy S5 এর রেগুলার ভার্সনে ২.৫ গিগাহার্টজের কোয়ালকম প্রসেসর থাকলেও এতে চিপসেট হিসেবে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮০১ ।
অধিক র‍্যামঃ
Galaxy S5 এর রেগুলার ভার্সনে ২ গিগাবাইটের র‍্যাম ব্যবহৃত হলেও SM- G906S মডেলের Galaxy S5 এর প্রিমিয়াম ভার্সনে থাকবে ৩ গিগাবাইটের র‍্যাম।
এছাড়া ফাঁস হওয়া তথ্যানুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট চালিত এই ফোনে থাকবে ৩২ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী আর এর রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে থাকতে পারে ১৬ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা।
এমাসের শেষের দিকেই হয়তো প্রিমিয়াম ভার্সনের Galaxy S5 এর ঘোষণা দিতে পারে। এখন দেখার অপেক্ষা প্রিমিয়াম হিসেবে স্মার্টফোনের বাজারে কেমন আলোড়ন তুলে প্রিমিয়াম ভার্সনের Galaxy S5।

বাংলালিংক দিচ্ছে ১০ হাজার টাকার জেডটিই ভি৮০৭ মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকায়; কিন্তু আসলেই কেমন এই ফোনটি?


priyojon_zte_offer
বাংলালিংক তাদের “প্রিয়জন” সদস্যদের জন্য প্রায় ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি জেডটিই স্মার্টফোন মাত্র সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় কেনার সুযোগ দিয়েছে। প্রিয়জন প্রোগ্রামের নতুন এই অফারটি ঘোষণার পর থেকেই সবার নজর কেড়েছে। বিশেষ করে যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনবো কিনবো করছেন, তাদের প্রায় সবাই এই ফোন নিয়ে উৎসাহী। কিন্তু কেবল দাম কমানো হয়েছে বলেই কি ফোনটি কেনা ঠিক হবে?

জেডটিই ভি৮০৭ স্পেকস

জেডটিই’র এই ফোনটিতে রয়েছে ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ৪৮০ বাই ৮০০ পিক্সেল। টিএফটি প্রযুক্তির এই ডিসপ্লেতে পিক্সেল পার ইঞ্চি (পিপিআই) হচ্ছে ২৩৩। এতে রয়েছে ১ গিগাহার্জ করটেক্স এ৯ ডুয়াল কোর প্রসেসর। গেমিং ও অন্যান্য গ্রাফিক্স রেন্ডারিং-এর জন্য রয়েছে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৩১ইউ। তবে এর অন্যতম অসুবিধাজনক দিক হচ্ছে এর র‌্যাম। এতে দেয়া হয়েছে ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম যা ফোনের পারফরম্যান্সে খুব বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও ফোনটিতে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ যা এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।
ফোনটিতে রয়েছে ৩জি সুবিধা, যা দেশের ৩জি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা গ্রাহকদের জন্য নিঃসন্দেহে সুখবর। কিন্তু এর ১৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি ৩জি নেটওয়ার্কে খুব দ্রুতই নিঃস্ব হয়ে যেতে পারে, যেক্ষেত্রে আপনাকে সবসময়ই পাওয়ার সোর্সের ধারেকাছে থাকতে হবে। এছাড়া ফোনটিতে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৩.০, জিপিএস, এক্সেলেরোমিটার ও প্রক্সিমিটি সেন্সর রয়েছে।
ফোনটির ক্যামেরা আপনাকে বেশ ভালোভাবেই হতাশ করবে। কেননা, এর পেছনে রয়েছে মাত্র ৩.১৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আরও দুঃসংবাদ হলো, এর সামনে কোনো ক্যামেরা নেই। ফলে স্কাইপে ভিডিও কল করা কিংবা সেলফি তোলা এই ফোনে অন্তত সম্ভব হবে না।
এছাড়া জেডটিই’র এই ফোনটিতে চলছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন। অফিসিয়ালি এতে অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ কিটক্যাট আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে কাস্টম রমের মাধ্যমে কিটক্যাট ইন্সটল করা যেতে পারে যেক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি হারাতে হবে ক্রেতাকে।
কেনা কি ঠিক হবে এই ফোন?
১০ হাজার টাকার আশেপাশে দামে এই ফোন কেনার কথা ভুলেও চিন্তা করা যায় না। কিন্তু যেহেতু বাংলালিংক তাদের প্রিয়জন গ্রাহকদের সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকার মধ্যে ফোনটি কেনার সুযোগ করে দিয়েছে, সেহেতু ফোনটি আসলেই কেনা উচিৎ কি না তা ভাবার অবকাশ রয়েছে।
প্রথমেই বলে নেয়া উচিৎ, ফোনটি দিয়ে আপনি বেসিক অপারেশন করতে পারলেও স্মার্টফোনের স্বাদ তো পাবেনই না, বরং শিগগিরই এটি আপনার সারাক্ষণের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য কেবল ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম ও ‌১ গিগাহার্জ প্রসেসরই দায়ী নয়, বরং আপনি যেসব অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করবেন, সেগুলোর বেশিরভাগই বেশি প্রসেসর বা র‌্যাম ব্যবহার করে থাকে (যেমন ফেসবুক মেসেঞ্জার), আর তাই আপনা-আপনিই পুরনো হার্ডওয়্যারে পারফরম্যান্স খুবই খারাপ হয়। এই দোষ ফোনের নয়, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, যার শিকার কম হার্ডওয়্যারের প্রায় সব ফোন।
ফোনটিতে এমনিও আপনি খুব বেশি অ্যাপ ইন্সটল করতে পারবেন না। কেননা, সেক্ষেত্রে অ্যাপের পাশাপাশি ফোনের ইউজার ইন্টারফেসও এতোটাই ধীরগতির হয়ে পড়বে যে ফোন আছড়ে ভাঙার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তেমন অ্যাপ ইন্সটল না করলেও একটা সময় পর সেটের গতি ধীর হতে শুরু করবে যা লো থেকে হাই-এন্ড সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই লক্ষ্য করা যায়। তবে লো-এন্ড ফোনের হার্ডওয়্যার দুর্বল থাকে বলে এগুলোতে সমস্যাটা বেশি মাত্রায় ধরা পড়ে।
গেমপ্রেমীরা হয়তো ফ্ল্যাপি বার্ড কিংবা টেম্পল রানের মতো গেম খেলতে পারবেন, কিন্তু অনেক বেশি গেম ইন্সটল করতে পারবেন না কিংবা এইচডি গেম সুবিধাজনক পারফরম্যান্সে খেলতে পারবেন না।
সবমিলিয়ে বলা যায়, তুলনামূলক কম দাম হিসেবে ফোনটি ঠিক আছে। আপনার জরুরি ভিত্তিতে একটি ফোন দরকার কেবল কথা বলার জন্য ও মেসেজিং/ইমেইল এর জন্য, সেক্ষেত্রেও ফোনটি ঠিক আছে। কিন্তু আপনি যদি অনেকদিন ধরে একটি অ্যান্ড্রয়েডের স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে এটি মোটেই আপনার জন্য নয়। কেননা, এটি আপনাকে সন্তুষ্ট তো করবেই না, বরং উল্টো অ্যান্ড্রয়েডের উপরেই মন বিষিয়ে তুলবে।
ফলে, সিদ্ধান্তটা নিতে হবে আপনার চাহিদার উপর ভিত্তি করে। যদি যে কোনো মূল্যে আপনার একটি ফোন দরকার হয়, তাহলে ফিচার ফোনের বদলে এই ফোনটি কিনতে পারেন। দাম অনুপাতে জেডটিই ভি৮০৭-কে খারাপ বলা যাবে না কোনোভাবেই। কেবল মনে রাখা দরকার প্রত্যাশাও হতে হবে ফোনের দাম ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ীই।বিশেষ করে যদি যদি “অ্যান্ড্রয়েড ফোন’ দরকার হয়, তাহলে ঠিক কী কারণে অ্যান্ড্রয়েড প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করুন এবং সেই চাহিদা জেডটিই’র এই ফোনে পূরণ হবে কি না তা যাচাই করে নিন। আপনি অবশ্যই ছবি তোলায় আগ্রহী হয়ে এই ফোনটি কিনতে চাইবেন না কিংবা হেভি গেমার হয়ে ফোনটিতে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারবেন না।
আর হ্যাঁ, বাড়তি সুবিধা হিসেবে প্রত্যেক ক্রেতা এই ফোনের সঙ্গে পাবেন ১ গিগাবাইট ফ্রি ইন্টারনেট ডেটা। দেখে নিন আপনি এই ফোন কিনতে পারবেন কি না।
আপনার কী মতামত? যত কম মূল্যেই হোক, ফোনটি কেনা কি উচিৎ হবে?

ফিলিপস আনছে ৬৬ দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন


philips
ফিলিপস প্রায় সব ধরনের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করে থাকলেও বাংলাদেশে বোধহয় তাদের সবাই ‘বাতির রাজা ফিলিপস’ বলেই বেশি চিনে থাকেন। কথা হচ্ছে, বাতির রাজা যদি ফিলিপস হয়, তাহলে ব্যাটারির রাজাও ফিলিপস হতে দোষ কোথায়?
স্মার্টফোন বাজার এখন এমন হয়ে গেছে যে, কে কার চেয়ে বেশি গতির প্রসেসর, মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আর বড় আকৃতির স্ক্রিন দিবে তার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এতে করে স্মার্টফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সবার চোখের আড়ালেই থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে ব্যাটারি ব্যাকআপ। স্মার্টফোন যেখানে সবার জীবন আরও সহজ করার কথা, সেখানে ফোনে চার্জ দিতে দিতেই অনেকের একটি বড় সময় কেটে যায়। আর তাই গতানুগতিক স্পেসিফিকেশন তথা হার্ডওয়্যারের দিকে নজর কম দিয়ে ফিলিপস তৈরি করেছে নতুন এন্ট্রি-লেভেল অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফিলিপস W6618.
বিশেষ করে চাইনিজ বাজারকে লক্ষ্য করে বাজারে আনা এই ফোনটিতে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন কিউএইচডি এবঙ ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। রয়েছে মাইক্রোএসডি কার্ডের স্লট।
এন্ট্রি-লেভেল ফোন হিসেবে এতে কোনো বিস্ময় না থাকলেও ফোনটির প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে এর ব্যাটারিতে। ফিলিপসের দাবি, এই ফোন এক চার্জে টানা ৬৬ দিন স্ট্যান্ডবাই মোডে ও টানা ৩৩ ঘণ্টা টকটাইমের ব্যাকআপ দিতে পারবে। আর এটি সম্ভব হবে কেবল এর ৫,৩০০ এমএএইচ ক্ষমতার ব্যাটারির ফলে।
অবশ্য বাড়তি ব্যাটারির জন্য জায়গা করতে গিয়ে ফোনটির পুরুত্ব বাড়াতে হয়েছে ফিলিপসকে, যার ফলে এটি এখনকার প্রায় অনেক ফোনের তুলনায়ই বেশি মোটা ও ভারি লাগতে পারে। তবে বাড়তি ব্যাকআপের জন্য এতটুকু ডিজাইন স্যাক্রিফাইস মেনে নেয়া যেতেই পারে।
ফিলিপসের এই ফোনটি চীনে ১৬৯৯ ইউয়ানে বিক্রি হবে; ডলারে যার দাম ২৭৩ ডলার। খুশির খবর হচ্ছে, এটি এশীয় ও ইউরোপিয়ান বাজারেও আসবে বলে জানা গেছে। যদিও বাংলাদেশে আসবে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে খুব একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু না থাকায় বাংলাদেশের ক্রেতারা কি বাড়তি ব্যাকআপের লোভে ফিলিপসের এই ফোন

চলুন আজ জানি ফেসবুকের ইতিহাস!


আমারা সবাই ফেসবুকের সাথে পরিচিত। আজ কেউ যদি বলে তার ফেসবুক আইডি নেই তাহলে তাকে আমরা বলি সে এখন প্রাচীন যুগে পরে আছে! কিন্তু এই ফেসবুকের ইতিহাস কি আমারা জানি? তাহলে চলুন আজকে আমারা ফেসবুকের ইতিহাস জানি!
আমারা সবাই জানি, ফেসবুক বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারাবিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য।
ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জুকেরবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।

ইতিহাসঃ

মার্ক জাকারবার্গ, হার্ভার্ড এ তার ২য় বর্ষ চলাকালীন সময়ে, অক্টবার ২৮, ২০০৩ এ তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস। এতে তিনি হার্ভার্ডের ৯ টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যাবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের সব শিক্ষারথিদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়। ‘হট অর নট’। এজন্য মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা হ্যাঁক করেন। ফেসম্যাস সাইট এ মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন।
২০০৪: ফেসম্যাস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ এর জানুয়ারিতে মার্ক তার নতুন সাইট এর কোড লেখা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে দিফেসবুক.কম এর উদ্বোধন করেন। শিঘ্রই মার্ক জাকারবার্গ এর সাথে যোগ দেন ডাস্টিন মস্কোভিৎজ (প্রোগ্রামার), ক্রিস হুগেস ও এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন (ব্যবসায়িক মুখপাত্রও) এবং অ্যান্ডরু ম্যাককলাম (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট)। জুনে প্যালো আল্টোতে অফিস নেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়।
  • ২০০৫: আগস্টে ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ নাম পাল্টে কোম্পানির নাম রাখা হয় শুধু ‘ফেসবুক’। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫ লাখ।
  • ২০০৬: কৌশলগত কারণে আগস্টে ফেসবুকের সঙ্গে মাইক্রোসফট সম্পর্ক স্থাপন করে। সেপ্টেম্বর থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আগে শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ছিলেন এর ব্যবহারকারী। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখে।
  • ২০০৭: ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়াল গিফট শপ চালু হয়। এপ্রিলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছায় দুই কোটি।
  • ২০০৮: কানাডা ও ব্রিটেনের পর ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স ও স্পেনে ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়। এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়। আগস্টে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটিতে।
  • ২০০৯: জানুয়ারিতে ব্যবহারকারী ১৫ কোটি। ডিসেম্বরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ কোটিতে।
  • ২০১০: ফেব্রুয়ারিতে যে সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি, জুলাইয়ে সেই সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫৫ কোটি।

মালিকানাঃ

২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মালিকানা নিম্নরূপ: মার্ক জাকারবার্গ: ২৮%, এক্সেল পার্টনার্স: ১০%, ডিজিটাল স্কাই টেকনোলোজিস: ১০%, ডাস্টিন মস্কোভিটজ: ৬%, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন: ৫%, শণ পার্কার: ৪%, পিটার থিয়েল: ৩%, গ্রেলক পার্টনার্স এবং মেরিটেক ক্যাপিটাল পার্টনার্স: ১ থেকে ২% প্রত্যেকে, মাইক্রোসফট: ১.৫%, লি কা-শিং: ০.৮%, ইন্টারপাবলিক গ্রুপ: ০.৫ এর কম, বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মচারি এবং বিভিন্ন তারকা (নাম অপ্রকাশিত): প্রত্যেকে ১% এর কম এবং বাঁকি ৩০% বিভিন্ন কর্মচারি ও অপ্রকাশিত তারকাদের মালিকানাধীনে রয়েছে।২০০৮ সালের মে মাসে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো পদত্যাগ করেন। প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল, এবং তিনি এই কোম্পানির আংশিক মালিকানার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। প্রধান পরিচালনার কর্মিবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস কক্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট), শেরিল স্যান্ডবার্গ (প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা), মার্ক জাকারবার্গ (চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা)। ২০১১ সালের এপ্রিল অনুযায়ী, ফেসবুকের প্রায় ২,০০০ জন কর্মচারি রয়েছে এবং তাদের দপ্তর রয়েছে ১৫টি দেশে।

আপনার কম্পিউটার সেফ মোড এ রান হচ্ছে- নিয়ে নিন সমাধান


অনেক সময় অনেক অপারেটিং সিস্টেম সেফ মোড এ রান করা থাকে যার কারণে আপনি আপনার ইচ্ছা মত প্রোগ্রাম অথবা অন্যান্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়া যারা নতুন কম্পিউটার কিনে থাকেন তাদের বেশির ভাগ সময় এই ধরণের সমস্যায় পরেন। তবে সেফ মোড এ কম্পিউটার রান করানো ভাল। এতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। আজকে আমি আপনাদের দেখাব কি করে আপনি আপনার কম্পিউটার নর্মাল মোড এ রান করাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
Capture
প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটার এর রান কমান্ড এ যেতে হবে যদি আপনি না যেতে পারেন তাহলে আপনি আপনার কীবোর্ড এর win + R বাটন চাপুন দেখবেন নতুন একটি উইন্ডো চালু হয়েছে এবার রান কমান্ড এ msconfig লিখুন। লিখার পর এন্টার চাপুন দেখবেন নতুন আরও একটি উইন্ডো চালু হয়েছে। এটি হল আপনার কম্পিউটার এর সিস্টেম এর কনফিগারেশন সেটিং এবার এখান থেকে আপনি selective start up থেকে normal start up সিলেক্ট করুন। এখন দেখতে পারবেন এতে ঠিক মার্ক পড়েছে। এবার অ্যাপ্লাই দিয়ে ওকে দিন। এখন দেখবেন আপনাকে রি স্টার্ট দিতে বলছে। কোন প্রকার দ্বিধা বোধ না করে সরাসরি রি স্টার্ট দিন এবং এবার আপনার কাঙ্খিত চমক দেখতে পারবেন। আপনার অপারেটিং সিস্টেম নর্মাল ভাবে স্টার্ট হয়েছে।
কিন্তু আমার মতে সেফ মোড এ কম্পিউটার চালানো সবচেয়ে নিরাপদ এবং ভাল। যখন প্রয়োজন হয় তখন আপনি ইচ্ছা করলে পরিবর্তন করে নিতে পারেন। আর এই কাজ তেমন কোন কঠিন আর সময় সাপেক্ষ কাজ নয়। আর আপনি ইচ্ছা করলে সেফ মোড থেকে ও আপনার ইচ্ছা মত প্রোগ্রাম রান করাতে পারবেন। সেজন্য আপনি রান কমান্ড এ যান এবং আগের মত msconfig লিখুন এবং এন্টার দিন এবার স্টার্ট আপ এ যান এবং টাস্ক ম্যানেজার থেকে আপনার পছন্দ মত টাস্ক এনে নিন। আবার কোন সার্ভিস বন্ধ করতে চাইলে আগের মত মত উইন্ডো পর্যন্ত যান এবং সার্ভিস এ যান এবং যা বন্ধ ও চালু করা প্রয়োজন করে নিন।

গুগল আনছে হারানো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস খুঁজে পাওয়ার এক নতুন টুল


স্মার্টফোন জগতে বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। আর সেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের অনেকেই তাদের প্রিয় ডিভাইসটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেকে নিরাপত্তার জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলেও অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো যথাযথভাবে কাজ করেনা, কিংবা সার্ভিসগুলো পুরোপুরি ফ্রিও নয়। তবে গুগল এবার ডিভাইসের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই নিয়ে আসতে যাচ্ছে একটি নতুন সার্ভিস টুল।
এই টুলের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা খুব শীঘ্রই তাদের হারানো ডিভাইসের অবস্থান সনাক্ত করতে পারবেন। এই মাসের শেষ থেকেই গুগল অ্যাকাউন্ট থাকা যেকোন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী তাদের ডিভাইসের অবস্থান ম্যাপের মাধ্যমে সনাক্ত করতে পারবেন। শুধু সনাক্ত করাই নয়, অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে সেটিও গুগলের এই নতুন টুল জানিয়ে দেবে।
অর্থাৎ এর সাহায্যে রিয়াল টাইম অবস্থান নির্ণয়ই সম্ভব হবে। এছাড়া টুলটির সাহায্যে রিংগার অ্যাক্টিভেট করার পাশাপাশি আপনি আপনার ডাটাও ওয়াইপ করে ফেলতে পারবেন। ফলে ফোন চুরি হয়ে গেলেও আপনার ডাটাগুলো ঠিকই নিরাপদ থাকবে। এই সার্ভিসটি গুগলের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ওয়েবসাইটের একটি অংশ হিসেবে কাজ করবে।
blogpost
এই রিমোট টুলটি অ্যান্ড্রয়েড ২.২ এবং এর পরের যেকোন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনেই কাজ করবে। অর্থাৎ প্রায় ৯৮.৭% অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাই এই সুবিধাটি তাদের ডিভাইসে পেয়ে থাকবেন। হারানো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস খুঁজে পাওয়াসহ এর ডাটা মুছে ফেলার কাজে ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে গুগল “অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার” নামের একটি অ্যাপ্লিকেশনও রিলিজ করতে যাচ্ছে। তবে সার্ভিসটি ব্যবহারের জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করা আবশ্যক নয়, অর্থাৎ অ্যাপ্লিকেশনটি ছাড়াই আপনি গুগল এর এই নতুন সার্ভিসটি উপভোগ করতে পারবেন।
গুগলের মতে এই সার্ভিসটি অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। অনেকদিন ধরেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে এ ধরণের একটি সার্ভিসের অভাব বোধ করছিলেন যেখানে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট অনেক আগে থেকেই তাদের মোবাইল ডিভাইসগুলোতে এই সুবিধা দিয়ে আসছে।
এইচটিসি ও সনির মত কিছু কিছু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিজেরাই এমন কিছু সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করেছিল, তবে দুর্ভাগ্যবশত ট্র্যাকিং সার্ভিস এর অভাবে সেগুলো তেমন এগিয়ে যেতে পারেনি। তবে এবার গুগলই সেই অভাব পূরণ করে দেবে।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রিমোটলি কনট্রোল করার এই সুবিধাটির কথা গুগল ঘোষণা করলেও ঠিক কবে নাগাদ সার্ভিসটি চালু হবে সে সম্পর্ক নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে এই মাসেই যে সার্ভিসটি চালু হচ্ছে সেটি অনেকটাই নিশ্চিত।
আমাদের মনে হয় বাংলাদেশী অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য সার্ভিসটি বেশ ভালই কাজে আসবে। যদিও দেশের বাজারে থাকা ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে এটি ঠিক কতটা কার্যকরী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। আপনার কী মনে হয় সার্ভিসটি অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে? এ সম্পর্কে আপনাদের মতামত আমাদের অবশ্যই জানাবেন।

হীরার তৈরি স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং !

সোনার কোটিং দেওয়া কিংবা সোনালী রঙের স্মার্টফোনের এখন জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এইচটিসি ও অ্যাপলের সোনালী স্মার্টফোনের পর এবার হীরার কোটিং দেওয়া দাগ প্রতিরোধী স্মার্টফোন বাজারে আনার পরিকল্পনার করছে স্যামসাং। গ্যালাক্সি সিরিজের পরবর্তী স্মার্টফোন এসফাইভ’র একটি সংস্করণে হীরার কোটিং যুক্ত করতে পারে স্যামসাং।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইটি নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্যামসাং সম্প্রতি ‘ডায়মন্ড মেটাল সারফেস ট্রিটমেন্ট’ নামে নতুন একটি প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। এই প্রযুক্তিতে স্মার্টফোনের কেসিংয়ের মতো কোনো পৃষ্ঠে হীরার কোটিং দেওয়ার সম্ভব হয়।
a22-300x165
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং আগামী মাসের শুরুতেই গ্যালাক্সি সিরিজে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারে। এই স্মার্টফোনটিতে ৫.২৫ ইঞ্চি কিউএইচডি স্ক্রিন, ৬৪বিটের প্রসেসর, ২০মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ও অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট সংস্করণ থাকতে পারে। নতুন স্মার্টফোন ৬৪বিটের প্রসেসর ছাড়া আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

গৃহশিক্ষক আসছেন ল্যাপটপে!


কম্পিউটার বা অনলাইনের নাম শুনলেই যে সব বাবা-মা চটে যান, তাঁদের জন্য আশার খবর: কম্পিউটার এবার শিশুশিক্ষাতেও চালু হচ্ছে৷ অনলাইন ভিডিও টিউশনি শুরু করেছেন বার্লিনের এক বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র৷

ভিডিও-র মাধ্যমে শিক্ষা

কম্পিউটার থেকেই আসছে কণ্ঠ:
‘‘আমার নাম নুমসি৷ আমি আজ তোমাদের ইতিহাস থেকে একটা কাহিনি শোনাবো, সিজার অগাস্টাসের কাহিনি, রোমান সাম্রাজ্য যখন ধ্বংস হতে চলেছে৷''
লুকাস ড্যোলিং ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র৷ শিক্ষকদের মতে, এবার তার রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে কিছু জানার সময় হয়েছে৷ ভাগ্য ভালো, পড়ার বিষয় আজকাল অনলাইনেই পাওয়া যায়৷ লুকাস বলে: ‘‘বইতে কিছু পড়ার আগে ফিল্মে সেটা দেখে নিলে, বিষয়টা কিছুটা সহজ হয়ে যায়৷ তাতে বুঝতে সুবিধে হয়, কেননা বিষয়টা সম্পর্কে কিছু-কিছু জানা থাকে৷''
অনলাইন টিউশনের ফি মাসে ১৫ ইউরো৷ লুকাসের মায়ের তাতে আপত্তি নেই, কেননা লুকাস এ ভাবে স্কুলের পড়া আরো ভালো বুঝতে পারে বলে তাঁর ধারণা৷
বার্লিনের ফ্রিডরিশহাইন এলাকার একটি বাড়ির ছাদের ঘরে এই সব ভিডিও তৈরি করা হয়৷ তাতে থাকে নানা কমিক চরিত্র, কমিকের মতোই স্পিচ বাবল্-এর মধ্যে হাতে লেখা সংলাপ, সেই সঙ্গে রংচঙে সব ছবি৷ এ সব দিয়ে ফিল্ম তৈরি হয়৷
‘সোফাটিউটর'
সোফাটিউটর সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন স্টেফান বায়ার, বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র৷ বিভিন্ন বিষয়ে টিউশনের এই সব ভিডিও ছবি তৈরি করতে শুরু করেন ২০০৮ সালে৷ আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দশ হাজার ফিল্মে! যা কিনা প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর কাজে লাগে৷ বায়ার বলেন: ‘‘আমি কী লিখছি, ক্যামেরা তার ছবি তুলছে৷ আমি কথাও বলছি৷ কাজেই যে দেখছে, সে বিষয়টির উপর পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারছে৷ আজও সোফাটিউটরের ভিডিওগুলোতে বহু উপাদান থাকে, যেগুলো হাতে লেখা কিংবা হাতে আঁকা কিংবা হাতে তৈরি৷ আমরা কাগজের তৈরি পুতুল ব্যবহার করে থাকি৷ আজও আমাদের ভিডিওগুলোতে হাতের লেখার একটা বড় ভূমিকা আছে৷''
সম্পাদক আর শিক্ষকরা প্রথমে একত্রে স্কুলের পাঠক্রম নিয়ে আলোচনা করেন – যা থেকে তৈরি হয় ভিডিও ফিল্মগুলির চিত্রনাট্য৷ প্রতি সপ্তাহে একশো কর্মী আলেচনায় বসেন৷ এঁরা হলেন গ্র্যাফিক আর্টিস্ট, ওয়েব ডিজাইনার কিংবা তথ্য প্রযুক্তির লোক৷
‘কমিক চরিত্রেরা অঙ্ক শেখায়'
স্টেফান বায়ারের কাছে কল্পনাশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ যে কারণে সোফাটিউটিরের ভিডিও-তে কমিক চরিত্ররা অঙ্ক শেখায়৷ ছাত্র-ছাত্রীদের কতটা প্রগতি হলো, তা পরিমাপ করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ তার পরেও প্রশ্ন থাকলে, অনলাইন চ্যাটে তা পেশ করা যায়৷ গ্র্যাফিক বিভাগে নানা ধরণের কাল্পনিক চরিত্র সৃষ্টি করা হয়৷ এখানে যাঁরা কাজ করেন, তাদের সকলেরই বিশ্বাস যে ভবিষ্যতে অনলাইনের মাধ্যমেই স্কুলের পড়াশুনো চলবে৷
বার্লিনের হ্যার্মান নোল স্কুলে স্টেফান বায়ারের টিউশন পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ এটা একটা মডেল প্রকল্প৷ ক্লাস সিক্সের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে পড়ানোর জন্য সোফাটিউটরের অনলাইন মালমশলা ব্যবহার করছেন৷
অধ্যক্ষা ইলোনা ব্যারনসডরফ বলেন: ‘‘আমাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা হলো যে, ভিডিওগুলো ক্লাসের পড়াকে অসাধারণ মজার করে তোলে; ভিডিও-র মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠ্য বিষয়টি নতুন করে সাজাতে ও পেশ করতে পারেন এবং আমার কাছে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো – ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয়টির সঙ্গে একবার পরিচিত হয়ে যাবার পর, ভিডিও-র মাধ্যমে নিজেরাই একা-একা পড়াশুনো করতে পারে৷''
ছাত্র-ছাত্রীরা যত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভিন্ন জিনিস ব্যাখ্যা করার জন্য ঠিক তত বেশি সময় পাবেন৷ ল্যাপটপ ও হেডসেট পেয়ে শিশুরা প্রায়ই বড়দের চেয়েও দ্রুত কাজ করতে পারে৷ স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডেই আজকাল ভিডিও দেখা যায়৷ মডেল প্রকল্পটি ভালোভাবে চললে স্টেফান বায়ার ও তাঁর ডিজিটাল পাঠ্য আগামী বছর থেকে নিয়মিতভাবে ক্লাসে ব্যবহার করা হবে৷

ক্লাসের পড়াশুনা যখন অনলাইনে


ঘরে বসে অনলাইনে ভিডিওর মাধ্যমে পড়ালেখার জন্য বাংলাদেশে কয়েকটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে৷ সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ালেখার পাশাপাশি রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন পরীক্ষার টেস্ট৷
ভিডিওর মাধ্যমে মজা করে গণিত শেখান চমক হাসান
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক রাগিব হাসান ২০১২ সালের আগস্ট মাসে শিক্ষক ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেন৷ সেখানে কম্পিউটার বিজ্ঞান থেকে শুরু করে পদার্থ, রসায়ন, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিজ্ঞান সহ নানান বিষয়ে বাংলায় লেকচার পাওয়া যায়৷
মূলত দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরাই এক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন৷
এদিকে, বিশ্বখ্যাত খান অ্যাকাডেমির কথা তো অনেকেরই জানা৷ যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরে থাকা নিজের কাজিনের জন্য অঙ্ক শেখার ভিডিও তৈরি দিয়ে শুরু৷ তারপর সেখান থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয় খান অ্যাকাডেমি৷ তারই লেকচারগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে৷ পাওয়া যাচ্ছে এই ওয়েবসাইটে
তবে শুধু শেখানোই নয়, স্কুল-কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যেন অনলাইন টেস্টে অংশ নিয়ে নিজেদের যাচাই করতে পারে সেজন্যও রয়েছে ওয়েবসাইট৷ যেমন সৃজনশীল ডটকম, চ্যাম্পসটোয়েন্টিওয়ান ডটকম ইত্যাদি৷ তবে সৃজনশীল ডটকমে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয়ের উপর অডিও ভিজ্যুয়াল টিউটোরিয়ালও রয়েছে৷
গণিতের মতো জটিল বিষয়কে আনন্দের সঙ্গে শেখানোর চেষ্টা করছেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি গবেষণারত চমক হাসান৷ একসময় সামনাসামনি সেটা করলেও প্রবাসে থাকার কারণে এখন তাঁর মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেল

পাসওয়ার্ড বদলান, ‘চুরি’ সামলান

জার্মান এক প্রোগ্রামারের ছোট্ট একটা ভুল৷ সেই ভুলের কারণে সারা বিশ্বের সাইবার দুনিয়ায় তোলপাড়৷ শত শত ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির খবর আসছে৷ এ অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ক্যানাডার পুলিশ৷
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ‘এনক্রিপশন' পদ্ধতিতে বড় ধরনের ত্রুটি ধরা পড়ে৷ এই ত্রুটির ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বরসহ স্পর্শকাতর সব তথ্য পড়ে যায় ঝুঁকির মুখে৷ বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘ডেটা স্ক্র্যম্বলিংয়'-এ ব্যবহৃত ওপেনএসএসএল এনক্রিপশনে প্রায় দু'বছর ধরে এই ত্রুটি রয়েছে৷ এর সুযোগ নিয়ে ওপেন এসএসএল-এর সহায়তায় চলে এমন ওয়েব সার্ভারগুলো থেকে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা৷
এরই মাঝে আসতে শুরু করেছে হ্যাকারদের অন্যের ‘অ্যাকাউন্ট' হ্যাক করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরিতে নেমে পড়ার খবর৷ এদিকে জার্মানির ‘ড্যায়ার শ্পিগেল' ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করন জানিয়েছে, সাইবার জগতের প্রায় অর্ধেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে এক জার্মান প্রোগ্রামারের অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে৷ তাঁর এই ভুলজণিত সৃষ্টি, অর্থাৎ ইন্টারনেট নিরাপত্তার এই ত্রুটির নাম দেয়া হয়েছে ‘হার্টব্লিড বাগ'৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল'-কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রোগ্রামার জানিয়েছেন, তিনি একসময় ওপেনএসএসএল-এ কাজ করতেন৷ গত সোমবার থেকে যে ‘হার্টব্লিড বাগ' নিয়ে তোলপাড় চলছে তার জন্ম তাঁর হাতেই হয়েছিল বলেও স্বীকার করেছেন তিনি৷ তবে জার্মান প্রোগ্রামার দাবি করেন, তাঁর এই ভুল ঊর্ধ্বতনদের নজর এড়িয়ে যায় এবং বিষয়টি যে এত বড় সমস্যার কারণ হতে পারে, তা বোঝেননি বলে তিনি নিজেও তখন আর এ নিয়ে কথা বলেননি৷
ভুলটি দু'বছর আগে হলেও ধরা পড়েছে মাত্র কয়েকদিন আগে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের মনে আতঙ্ক ছড়ানো এ ভুল সবার আগে ‘গুগল সিকিউরিটিজ'-এর কর্মী নীল মেহতার নজরে আসে৷ তাঁর এই ‘আবিষ্কার' যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তেমনি সাইবার দুনিয়ায় সবাইকে নিরাপদ রাখার সুযোগও করে দিয়েছে৷ আপাতত করণীয় একটাই – ঝটপট পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা৷
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশের অফিস-আদালতে পড়ে গেছে সতর্কবার্তা প্রচারের হিড়িক৷ পাসওয়ার্ড বদলে ফেলে ইন্টারনেটে গোপনীয় সব তথ্য গোপন রাখতে কে না চায়, বলুন! তাই বদলে যাচ্ছে লাখ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড৷
অবশ্য হ্যাকাররাও বসে নেই৷ গত দু'বছরে কত সহস্র ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে, বলা মুশকিল৷ তবে এখন হ্যাকারদের ওপরও রাখা হচ্ছে কড়া নজর৷ মঙ্গলবার স্টেফেন আর্থুরো সোলিস-রেয়েস নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে রয়্যাল ক্যানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)৷
আরসিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তি ইন্টারনেট থেকে অন্তত ৯০০ ক্যানাডিয়ান করদাতার তথ্য চুরি করেছেন৷

‘বাংলাড্রোন’ ব্যবহার করা হবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দেশে নির্মিত চালকবিহীন ড্রোন বিমান ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে৷ স্থানীয় প্রকৌশলীদের তৈরি ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও হয়েছে এরই মধ্যে৷ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার৷
Re:publica 2013 ফাইল ফটো
ডিএমপির মাঠে খোলা আকাশে চালকবিহীন ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হয় বুধবার বিকেলে৷ ড্রোনটি ১০ মিনিট আকাশে ওড়ে৷ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চালিত এই ড্রোন ৫০০ ফুট ওপরে উড্ডয়নে সক্ষম হয়৷
বাংলাদেশের তরুণ কয়েকজন প্রকৌশলীর প্রতিষ্ঠান অ্যারো রিচার্স সেন্টার ছোট আকারের এই ড্রোন তৈরি করেছে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তারা এর নাম দিয়েছে ‘বাংলাড্রোন'৷
Bangladesch Streik in Dhaka ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ড্রোন ব্যবহার করতে চায় পুলিশ
এছাড়া ঘুড়ি-১ এবং ঘুড়ি-২ নামে আরো দুটি ড্রোন বানিয়েছে তারা৷ অ্যারো রিচার্স সেন্টার-এর প্রকৌশলী খায়রুজ্জামান বিপ্লব জানান, তাদের তৈরি করা ড্রোন একটানা ২৫ মিনিট উড়তে পারে৷ উঠতে পারে ৫০০ ফুট ওপরে, ঘণ্টায় গতিবেগ যার ৪০ কি.মি.৷ তাদের ড্রোনের ওজন ৭.৬ কিলোগ্রাম আর এর সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা ১০ কিলোগ্রাম ওজনের জিনিস৷ তবে তিনি জানান, তাদের ১.৬ কিলোগ্রাম ওজনের হাল্কা ড্রোনও আছে, যার বহন ক্ষমতা ১ কিলোগ্রামের কিছু বেশি৷ এ সব ড্রোন তৈরিতে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা খরচ পড়ছে৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, এ সব ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা, স্থান চিহ্নিত করা, লাইভ ছবি নেয়া এবং টার্গেট অনুযায়ী কিছু ফেলা সম্ভব৷ বিশেষ করে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং অপরাধ দমনে এই ড্রোন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে৷ এছাড়া নজরদারির ক্ষেত্রে এই ড্রোন কাজে আসবে৷ তিনি জানান, পুলিশের ব্যবহার উপযোগী করতে তারা আরো কিছু ‘ফিচার' সংযুক্ত করতে বলেছেন এই ড্রোনে৷ একই সঙ্গে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব এবং বাজেট পর্যালোচনা করা হচ্ছে৷ সব কিছু মিলে গেলে ডিএমপিতে সংযুক্ত হবে এই ‘বাংলাড্রোন'৷

বিমানের চাকায় লুকিয়ে আকাশ ভ্রমণ কিশোরের




হাওয়াই এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৫ বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে হাওয়াই যাচ্ছিল ছেলেটিও তখন বিমানের হুইল ওয়েলে লুকিয়ে ভ্রমণ করছিল। বলে রাখা দরকার, বিমানটি তখন ৩৮,০০০ ফিট উপর দিয়ে যাচ্ছিল। এত উপরে তাপমাত্রা খুবই কম হয় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি থাকে। এতসব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছেলেটি একটি পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সাড়ে ঘণ্টার ফ্লাইটে বেশির ভাগ সময়ই সে অজ্ঞান ছিল। কিন্তু বিমানটি যখন হাওয়াইয়ের মাওই বিমানবন্দরে নামে তখন তাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চাকায় লুকিয়ে ছেলেটির সম্পূর্ণ অক্ষত বেঁচে যাওয়ার ঘটনাকে ব্যতিক্রম অলেৌকিক বলে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কপাল গুণে ছেলেটি বেঁচে আছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই' মুখপাত্র টম সিমন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সে সম্পূর্ণ অক্ষত আছে বলেও জানিয়েছেন সিমন। সিমন জানান, বেড়া ডিঙিয়ে ছেলেটির ফ্লাইটটিতে উঠার ঘটনা সান জোস বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবিষয়ক ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়।
মাওই বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই ছেলেটি হুইল ওয়েল থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং উদ্দেশ্যহীনভাবে এদিক-ওদিক হাঁটতে থাকে। তখন নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করে। এরপর কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় এফবিআই' সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হাওয়াই এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র আলিসন ক্রলি বলেন, ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে পৌঁছার পর এয়ারলাইন্সের লোকেরা ছেলেটিকে হুইল ওয়েলের ্যাম্পে [ঢালু জায়গা] দেখতে পায়। তখন তারা ত্বরিত নিরাপত্তা সদস্যদের তা অবহিত করেন। ছেলেটির সুস্থতাই এখন তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব বলে জানান ক্রলি।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬ বছরের এই বালকটি ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। বাড়ি থেকে পালানোর পর ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোস বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেড়া ডিঙিয়ে লুকিয়ে সে উঠে পড়ে বিমানের চাকা বসানোর জায়গায় [হুইল ওয়েল] তারপরই ঘটে এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি