Sunday, March 30, 2014

বুক ফেড়ে শিপনের কলিজা দেখলো ফাতেমা





              http://www.eurobdnewsonline.com/assets/images/news_images/2014/03/30/for_details/image_30513_0.jpg

ও আমাকে টিজ করতো। অনেক সহ্য করেছি। সহ্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেই। ওর বাসায় যাই। গিয়ে আরসির বোতলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলি।

তারপর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে খুন করি। এরপর ছুরি দিয়ে বুক ফেরে কলিজা বের করে দেখি, ওর কত বড় কলিজা, সাহস কতো। আমার মতো মেয়ের সঙ্গে ও টিস করে কোন সাহসে।

এভাবেই কথা বলেন গৃহকর্মী ফাতেমা আক্তার (১৭)। শনিবার দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানায় সাংবাদিকদের কাছে কথাগুরো বলেন তিনি। খুলনায় লিফটম্যান শিপন হত্যাকাণ্ডে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় ফাতেমাকে।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ওইদিন দিবাগত রাতে জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া জয়খালী থেকে ফাতেমাকে গ্রেপ্তার করে।

এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, নিহতের ল্যাপটপ বিক্রির ২২ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুলনার পুলিশ লাইন পূর্বগলি থেকে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী অনিক (২২) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফাতেমা জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার মা ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে মার কাছে গেলে শিপন নিয়মিত টিস করতো আমাকে। অনেক দিন সহ্য করেছি। অসহ্য হয়ে শিপনের সঙ্গে ভাব করি। ভাব জমিয়ে সর্বশেষ তাকে খুন করি।

সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ফাতেমা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, মেকাপ দিয়ে সেজে-গুজে আসবো? বেশি বেশি করে লেখেন আমার কথা। আমি কোনোদিন বের হলে আবার কোন ছেলে যদি এ ধরনের কাজ করে তাকেও খুন করবো।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দিন আজাদ জানান, মেয়েটির মা নূরজাহান বেগম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে যাতায়াতের একপর্যায়ে লিফটম্যান শিপনের সঙ্গে ফামেতা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শিপনের নূরনগরের বাসায়ও মেয়েটি কয়েকবার গিয়েছে বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় বুক ফাড়া ও কলিজা বের করা দেখা গেছে। এ হত্যাকান্ড মেয়েলি ঘটনা বলে ধারণা করা হয়েছিল।

নিহত শিপন খুলনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী আবু বক্কারের ভাগ্নে। সে বয়রায় মামার সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের কোয়ার্টারে থাকতো।

ফাতেমা ঢাকার একটি বাসায় কাজ করতো। মার অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়িতে আসে।

গত ৮ মার্চ রাতে নগরীর নূরনগর গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসায় খুন হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটম্যান ও খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক শিপন (২৫)।

No comments:

Post a Comment