সাভার
ট্র্যাজেডি গ্রস্থ দের পাশে বাংলাদেশ স্কাউট :-
লাশ শনাক্ত থেকে শুরু করে কফিন রেডি করে লাশ প্যাক করা পুলিশ রিপোর্ট
কালেক্ট করা ছার পত্র পুরুন করে তা জমা দাওয়া লাশ প্রতি নগদ ২০,০০০ টাকা বুজে নেয়া
এবং তা স্বজন দের কে বুজিয়ে দেয়া গাড়ি
ভারা করে লাশ গাড়িতে উঠালেই একটা লাশ এর পেছনে একজন রোভার এর দাইত্ব শেষ এ
ভাবে দিনে এক এক জন রোঁভার ৩০-৩৫ তা করে লাশ শনাক্ত করে থাকেন। কারো গলিত ও
অর্ধগলিত। কারও বা শুধুই হাত, পা অথবা মাথা পাওয়া যাচ্ছে। লাশগুলো উদ্ধারের পর তা প্রাথমিক
পর্যায়ে সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এনে রাখা হচ্ছে। নিকটাত্মীয়রাও তাদের স্বজনদের শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন কি শনাক্ত
করার কাজে নিয়োজিত রোভার স্কাউট কর্মীরা ও হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় কারো আইডি
কার্ড , মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, বা মানি এ থাকা ফটো কিংবা কন্ট্রাক নম্বর থেকে ফোন
করে মিলিয়ে ডেড বডি শনাক্ত করা হচ্ছে। এর পরো যদি না শনাক্ত করা যায় তবে তাদের
ঠিকানা মিলছে ডামেক এর মর্গে ডিএনএ টেস্ট এর জন্য ।
শুনে অবাক হবার কথা যে এই রোভার দের কারো ই আগে কখনো লাশ কফিন করা বা শনাক্ত করার
কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবু ও মানবতার ডাক এ সাড়া দিয়ে দেশ এর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে
ছুটে এসেছেন সাভার এর এই বিপরযস্থ দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
এক দিকে বাতাস এ লাশ এর গন্ধ সামনে গলিত লাশ হাতে স্প্রে নাকে মাস্ক
কখনো কখনো দুরগন্ধে সরে জাচ্ছেন স্বজনরা কিন্তু তারা তাদের দাইত্ত পালন করে
জাচ্ছেন দিন-রাত সেই ২৪ শে এপ্রিল থেকে শুরু থেকে আজ ও পর্যন্ত। এতোটাই আন্তরিক
তারা যা নিজের চোখে না দাখলে বিশ্বাস হবে না।
‘’আমার
নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সেয়ার করলাম, কারন আমি ও ঐ মহৎ রোভার স্কাউট দের সাথের
একজন সহ যোদ্ধা। এক সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করেছি তাদের সাথে’’
সাভার ট্র্যাজেডি জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতার প্রতীক। রানা প্লাজার
ফাটল ফেটে ভবন ধসে দেখিয়ে দিল আমাদের রাষ্ট্রীয়
ব্যবস্থায় যে বিশাল ফাটল ধরেছে, সেটা আমলে না
নিলে জাতিও এ রকম ধসের ভেতরে হারিয়ে যাবে।
রানা প্লাজায় মৃত ব্যক্তিদের আত্মা আজ আমাদের কর্মকাণ্ড দেখছে, আমাদের আলোচনা শুনছে। আত্মাদের দীর্ঘশ্বাস আমাদের সর্বক্ষণ ঘিরে আছে।
এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড থেকে আমরা কি কিছু শিখলাম? নাকি শুধু মর্মান্তিক বেদনা জানিয়ে আমাদের কর্তব্য শেষ করব?
রানা প্লাজায় মৃত ব্যক্তিদের আত্মা আজ আমাদের কর্মকাণ্ড দেখছে, আমাদের আলোচনা শুনছে। আত্মাদের দীর্ঘশ্বাস আমাদের সর্বক্ষণ ঘিরে আছে।
এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড থেকে আমরা কি কিছু শিখলাম? নাকি শুধু মর্মান্তিক বেদনা জানিয়ে আমাদের কর্তব্য শেষ করব?
না!!!!!
আসুন রোভার
স্কাউট দের মতো আমরা ও ক্ষতি গ্রস্থ দের পাশে গিয়ে দারাই
শিফাতুল
ইসলাম
জাগান্নাথ
বিশ্ব বিদ্যালয় রোভার ইউনিট
No comments:
Post a Comment